জগলুল হুদা,রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি: কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফের মহান মোর্শেদ আওলাদে রাসূল হযরতুলহাজ্ব আল্লামা অধ্যক্ষ ছৈয়্যদ মুহাম্মদ মুনির উল্লাহ্ আহমদী মাদ্দাজিল্লুহুল আলী ছাহেব বলেছেন, আল্লাহ তায়ালা ও তাঁর প্রিয় হাবীব (দ.) এর আনুগত্যেই মুসলিম মিল্লাতের ইহকালিন ও পরকালিন মুক্তি নিহিত। আল্লাহর রহমত যখন উঠে যায় তখন আল্লাহর গজব নেমে আসবে। গজব থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য ইসলামের হুকুম-আহকাম অনুশীলন করা, চর্চা করা আবশ্যক। এ অনুশীলনের জন্য আবশ্যক কুরআন সুন্নাহভিত্তিক হক ও বাস্তব তরিক্বত। এ তরিক্বতে সুন্দর জীবন গড়ার সোনালী ব্যবস্থাপনা রয়েছে। নামাজ, রোজা, মুরাকাবা, দরূদে মোস্তফার অনুশীলনের পাশাপাশি আল্লাহ ও তাঁর প্রিয় হাবীবের ভালোবাসা দিয়ে অন্তরকে সাজানোর রূহানী শিক্ষা, সাহাবায়ে কেরামের আদর্শে আদর্শবান হওয়ার আধ্যাত্মিক তালিম রয়েছে এ মহান তরিক্বতে। মহান মোর্শেদ গাউছুল আজম মাদ্দাজিল্লুহুল আলী এর একনিষ্ঠতা, অকৃত্রিম সাধনার ফলে এ তরিক্বতের পয়গাম সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। হাজার হাজার যুব সমাজ এ তরিক্বতে দীক্ষিত হয়ে নিজেদেরকে আলোকিত মানুষে পরিণত করছে। যা বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর জন্য কল্যাণের বিষয়, শান্তির বিষয়। আউলিয়ায়ে কেরামের ছোহবতে এসে আল্লাহ তায়ালা ও তাঁর প্রিয় হাবীব (দ.)’র সন্তুষ্টিজনক পথে ও মতে না আসলে বিশ্ববাসীর জন্য অনেক বিপদ অপেক্ষা করছে। যার নমুনা আমরা দেখতে শুরু করেছি। সুতরাং আল্লাহর গজব থেকে নিজেদের জান-মাল হিফাজত করতে হলে আসুন, গাউছুল আজমের মহান তরিক্বত গ্রহণ করে আল্লাহ তায়ালার প্রিয় হই, নবীজি (দ.) এর প্রেমিক হই। কুরআন-সুন্নাহর আলোকে তরিক্বতভিত্তিক জীবন গড়ি। শুক্রবার (১৫এপ্রিল) বিকালে চন্দ্রঘোনা লিচুবাগান বাসস্ট্যান্ড ময়দানে মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি বাংলাদেশ ১১০নং চন্দ্রঘোনা লিচুবাগান শাখার উদ্যোগে পবিত্র মে’রাজুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এশায়াত মাহফিলে উপস্থিত হাজার হাজার সুন্নি জনতার উদ্দেশ্যে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন। লিচুবাগান ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি জনাব মুহাম্মদ হারুন সওদাগরের সভাপতিত্বে মাহফিলে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আলী শাহ, চন্দ্রঘোনা-কদমতলী ইউপি চেয়ারম্যান ইদ্রিছ আজগর। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চন্দ্রঘোনা ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ লোকমান তালুকদার, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মুহাম্মদ ইসমাইল, অধ্যাপক মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, অধ্যাপক মুহাম্মদ তসলিম উদ্দিন, অধ্যাপক মুহাম্মদ অলি আহাদ প্রমুখ।
মাহফিলে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কাগতিয়া এশাতুল উলুম কামিল এম. এ. মাদরাসার মুহাদ্দিস আল্লামা কাজী মুহাম্মদ আনোয়ারুল আলম ছিদ্দিকী, আল্লামা মুহাম্মদ আশেকুর রহমান, মুনিরীয়া তবলীগ কমিটি ওলামা পরিষদের সহ-এশায়াত সম্পাদক আল্লামা এমদাদুল হক মুনিরী, তথ্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা সেকান্দর আলী প্রমুখ। মাহফিলে প্রধান আলোচক ছিলেন সংগঠনের মহাসচিব অধ্যাপক মুহাম্মদ ফোরকান মিয়া। মাহফিলে এলাকার অনেক গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ছাড়াও সর্বস্তরের হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ সুন্নি জনতা উপস্থিত ছিলেন। মাহফিলে এলাকার অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তি, আলেম, শিক্ষাবিদ ছাড়াও সর্বস্তরের বিপুল সংখ্যক ধর্মপ্রাণ মুসলমান উপস্থিত ছিলেন। মিলাদ-কিয়াম শেষে প্রধান অতিথি দেশ, জাতি ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি এবং দরবারের প্রতিষ্ঠাতা কাগতিয়ার গাউছুল আজমের আশু রোগমুক্তি ও দীর্ঘায়ু কামনা করে বিশেষ মুনাজাত পরিচালনা করেন।